বিষ্ণুপুরে পুকুরে স্নান করতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে তলিয়ে গেলেন এক ব্যক্তি, ঘটনার তদন্তে পুলিশ

বাঁকুড়া :- মঙ্গলবার বিষ্ণুপুর শহরের তুর্কি সিতারামপুরে বছর 39 বাবুল হেমব্রম নামে এক ব্যক্তির পুকুরে স্নান করতে গিয়ে জলে তলিয়ে মৃত্যু হয় ।পুলিশ সূত্রে খবর , গতকাল দুপুর তিনটের সময় নিত্যদিনের মতো বাউল হেমব্রম বাড়ির পাশের পুকুরে স্নান করতে যান | অনেকক্ষণ হয়ে গেলেও বাড়ি ফিরে না আসায় বাড়ির লোক খোঁজাখুঁজি শুরু করে| পুকুরপাড়ে এসে দেখে জামা প্যান্ট এবং গামছা রাখা আছে তখনই তার পরিবারের লোকজন প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানায় । বাড়ির লোক এবং প্রতিবেশী সকলেই খোঁজাখুঁজি শুরু করে, সন্ধ্যায় জলে নেমে খোঁজাখুঁজির পরও বাউল হেমব্রমকে পাওয়া না গেলে বাড়ির লোক অনুমান করে জলে হয়তো তলিয়ে গেছেন তাই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, এই ভেবে তৎক্ষণাৎ বিষ্ণুপুর থানায় বিষয়টিতে জানায় হেমব্রমের পরিবার| বিষ্ণুপুর থানা পুলিশ বুধবার সকাল থেকেই বড়জোড়া থেকে দক্ষ ডুবুরি পুকুরে নামিয়ে প্রায় কুড়ি ঘন্টা জলের তলায় খোঁজাখুঁজির পর হেমব্রমের দেহ জলে ভেসে উঠে । বিষ্ণুপুর থানার পক্ষ থেকে দেহটিকে কে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়| কিন্তু স্থানীয়দের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বাড়ির পাশের পুকুরে যদি স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে যান বাউল হেমব্রম তাহলে তখন বাঁচার জন্য তার কোন আর্তনাদ কেন শুনতে পাওয়া যায়নি??? তিনি তো প্রতিদিনই পুকুরে স্নান করতে যেতেন, তারমানে ভালই সাঁতার জানতেন, পুকুরের কোথাও যদি ঘূর্ণি থেকে থাকে তাহলেও তিনি তা ভালই জানতেন তাহলে কি করে তিনি তলিয়ে যেতে পারেন??? নাকি ওনার মিরগী রোগ ছিল বা স্নান করতে করতে শরীর খারাপ করে অজ্ঞান হয়ে উনি জলে তলিয়ে যান??? ঠিক কিভাবে মৃত্যু হয়েছিল তা জানার জন্য বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ অপেক্ষা করে আছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের উপর| এবং তার সঙ্গে সঙ্গে বাউল হেমব্রমের মৃত্যু রহস্যের জট খুলতে পুলিশ শুরু করে দিয়েছে তদন্ত| কিছুদিনের মধ্যেই এই মৃত্যু রহস্যের সমাধান হবে এবং যদি কেউ অভিযুক্ত থেকে থাকে তাহলে তাকে শীঘ্রই ধরতে পারবে বলে আশাবাদী বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ|